ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে হাতুরে ডাক্তার হোসেন এর ভুল চিকিৎসায় ৭ মাসের একটি ফুটফুটে কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।রাজাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল-আমিন ও সোহানা বেগমের সন্তান সামিয়া (৭)
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় কন্যা শিশু সামিয়া (৭)কে ডান চোয়ালে পোড়ার চিকিৎসা করানোর জন্য শিশুটির দাদা মোঃ সাদেক তার পুত্রবধূকে নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে রওনা দেন।পথিমধ্যে জনতা বাজার আসলে জনতা বাজারের ইসলামিয়া মেডিকেলের হাতুড়ে ডাক্তার হোসেন তাদেরকে ভুল-ভাল বুঝিয়ে সে নিজেই এই চিকিৎসা করতে পারবে বলে তার চেম্বারে নিয়ে যান।
শিশুটির ফুফু বলেন,চেম্বারে নিয়ে গিয়ে সাত মাসের এই শিশুটিকে হাতুড়ে ডাক্তার হোসেন চোয়াল বরাবর তিনটি ইঞ্জেকশন পুশ করেন।ফোড়াটি ব্লেড দিয়ে কেটে অপসারণের চেষ্টা করেন,সে সময় শিশুটি মারা যায়।তিনি আরো জানান শিশুটি মরে যাওয়ায় শিশুটিকে নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে আসার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী সাদেক সদ্দার, দুলাল খানকার,ফারুক স্যার,রমিজ আলী মেম্বার এরা সবাই মিলে আমাদেরকে বাধা প্রদান করে এবং থানায় গিয়ে কোন লাভ হবে না বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।হুমকি ধামকি দিয়ে আমাদেরকে থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করে।
শিশুটি মরে গেলে হাতুড়ে ডাক্তার হোসেন শিশুটির পরিবারকে বলেন শিশুটি বীর্মি খেয়েছে ওকে হাসপাতাল নিয়ে যান।হাসপাতালে নেওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোলার সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মামুন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল এ বিষয়ে জানান,ভুল ইনজেকশন দিয়ে এবং ব্লেড দিয়ে কেটে শিশুটিকে মেরে ফেলেছে ভুয়া ডাক্তার হোসেন।ইনজেকশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির শরীর খারাপ হয়ে যায়। মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়।
এদিকে এই মৃত্যুর খবর শুনে ইসলামিয়া মেডিকেলে তালা দিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার হোসেন।তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহীন ফকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,ঘটনাটি আমরা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।