ভোলার চরসামাইয়া বন্ধুজন স্কুলে মাদক ও ইভটিজিং বিরোধী সভা।
আশিকুর রহমান শান্ত-ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া বন্ধুজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে মাদক নিয়ন্ত্রণ, ইভটিজিং সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন বিষয়ে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ফরহাদ সরদার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি মোঃ সাইদুল হাসান সেলিম, চরসামাইয়া বন্ধুজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আঃ সহিদ তালুকদার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শিমুল চৌধুরী ও নেয়ামত উল্যাহ।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন অভিভাবক শিবলী হোসাইন, এমরান হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, ফাতেমা আক্তার, ফারজানা আক্তার প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সহিদ তালুকদার বলেন, বখাটে যুবকদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিদ্যালয়গামী ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছাত্রীদের অভিভাবকরা মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করছে। ফলে কোমলমতি ছাত্রীদের উপস্থিতি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এই অবস্থা নিরসনের লক্ষে পুলিশ প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ৩০ বছর অতিক্রম করছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসবাপত্র, বেঞ্চ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। যেখানে একটি বেঞ্চে ২-৩ জন শিক্ষার্থী বসার কথা সেখানে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী একটি বেঞ্চে বসতে হয়। বিদ্যালয়টির প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষের অভাব, নেই বহুতল ভবন, নেই কম্পিউটার ল্যাব, নেই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠানের কোন বাউন্ডারি, নেই প্রয়োজনীয় শৌচাগার। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেই কোন শৌচাগার। বিদ্যালয়টির ৬০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রী হওয়ায় একটি কমন রুম অত্যাবশ্যক। মাদক সমাজের একটি মারাত্মক ব্যাধি। মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধ করতে পারলে একটি সমৃদ্ধ নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।