ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. হোসেন (২৮) নামে এক পাউবো স্টাফ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।ঘটনার পরপর পুলিশ ট্রাক চালক ও হেলপারকে হেফাজতে নিয়েছে।
বুধবার(৯ নভেম্বর)সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের তিন খাম্বা এলাকা সুন্দরবন কুরিয়া সার্ভিস অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) নীল রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।নিহত হোসেন ভোলা চরনোয়াবাদ চৌমুহনী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত রুহুল আমীন মাষ্টারের ছেলে। তিনি ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসআই নীল রতন জানান,অফিসের ডিউটি শেষে নিজের মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন হোসেন।মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক(ভোলা খেয়াঘাট)থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে হোসেন গুরুতর আহত হয়।
তাৎক্ষণিক ট্রাক চালক রক্তাক্ত অবস্থায় হোসেন কে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা(শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।শেবাচিমে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান,ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,বিপরীত দিক থেকে ট্রাক আসায় হোসেন তাঁর মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে সাইটে দাঁড়িয়েছিলেন।কিন্তু পিছন থেকে দ্রুতগতির একটি অটোরিকশা মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি ট্রাকটির সামনের অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।এবং তখনই হোসেন মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে অটোরিকশা চালককে শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান,এ ঘটনায় একটি ট্রাক ও তাঁর চালক ও হেলপারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজটি পর্যালোচনা করে অটোরিকশা চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ এখনো বরিশাল থেকে ভোলায় এসে পৌঁছায়নি।এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে