ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নে মোবাইল ফোনে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে মিথ্যা মামলা ও শুক্রবার গভীর রাতে দোকান লুটপাট এর ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কেরানি বাজারের দক্ষিণ পাশে হানিফ মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন মোঃ হাদিস এর দোকানের সামনে সোমবার আনুমানিক রাত ৮ টার সময় মোঃ নুরজামান,মোঃ সবুজ,মোঃ মমিন ও মোঃ আকবর মিলে মোবাইলে লুডু খেলতে ছিলেন। তাদেরকে লুডু খেলা অবস্থায় দেখে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরে আলম এর ভাই বিল্লাল তাদেরকে লুডু খেলতে নিষেধ করে।নিষেধ করার কারণ হিসেবে তাদেরকে বলা হয় এই লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে পাড়া মহল্লায় ও বাড়ি বাড়ি ঝগড়া ও মারামারি হয়। তাই এখানে যেন আর কেউ লুডু না খেলে।বিল্লাল ডাক দেওয়ার সাথে সাথে সবাই চলে গেলেও মুমিন সেখানে বসে থাকে এবং বিল্লালের সাথে কথার কাটাকাটি হয়।কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিল্লাল ও মুমিনের ভিতর হাতাহাতি হয়।হাতাহাতির সময় দোকানদার মোঃ হাদিস মুমিন ও বিল্লালকে দুইটি থাপ্পড় দিয়ে দুই দিকে পাঠিয়ে দেয় ঝগড়া সেখানে মিটমাট হয়ে যায়।মমিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে।যার মামলা নং এম.পি.৫৭/২৩। যা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬(২) ধারায় রুজু করা হয়।উক্ত বিষয়ে দোকানের সামনের বাড়ির নাজমা আক্তার(২৮)বলেন,সোমবার রাতে বিল্লাল ও মমিনের ভিতর অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে।সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমিন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি মিথ্যা মামলা দেন দোকানদার হাদীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে।মামলার ভয়ে হাদিস দোকানে না আসায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মমিন দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।সোমবারের ঘটনায় উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষী আকবর জানান,লুডু খেলা বন্ধ করার জন্য বিল্লাল ডাক দিলে সবাই চলে গেলে ও মমিন না গিয়ে বিল্লাল ভাইয়ের সাথে তর্কে জড়িয়ে যায়।এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে কিন্তু সেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষদেরকে হয়রানি করছে চা অত্যন্ত দুঃখজন।দোকানের মালিক হাদিস বলেন, উক্ত মামলার প্রধান আসামি করা হয় আমাকে। মামলার নোটিশ পেয়ে আমি শুক্রবার রাতে দোকানে না ঘুমিয়ে অন্যত্র পালিয়ে থাকি।সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মমিন দোকানের তালা ভেঙে নগদ ১৪হাজার ৯০০টাকা ও ৬০থেকে ৭০ হাজার টাকার মালামাল এবং একটি এলইডি টিভি চুরি করে নিয়ে যায়।উক্ত ঘটনার বিষয় চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নূরে আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগে লুডু খেলা নিয়ে একটি তুচ্ছ ঘটনা ঘটে।সেটিকে কেন্দ্র করে একটি মামলা দেওয়া হয়।হাদিস প্রতিদিন দোকানে ঘুমালেও শুক্রবার রাতে সে মামলার ভয়ে দোকানে না ঘুমিয়ে অন্যত্র ঘুমিয়ে ছিল।সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় প্রায় একশোর মত পুরুষ ও মহিলা জড়ো হয়।আমিও চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পাই।এবিষয়ে অভিযুক্ত মুমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি বানোয়াট দাবি করে বলেন,লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে আমাকে ও আমার মা’কে মারধর করে।সেই ঘটনায় আমি বিচার না পেয়ে কোর্টে মামলা করি।তাই তারা দোকান লুটের নাটক সাজিয়ে সেটিকে ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে এবং আমাকে হয়রানি করতেছে।এবিষয়ে দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান,এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।তবে ভোলা জজকোর্টে এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দোকানদার হাদিস।