ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী গ্রামে মুজিববাদী কবি রিগান রদন পরিবারের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে
রবিবার (২০শে নভেম্বর)বিকাল ৪ টায় পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা কামেশ্বর চন্দ্র শীল(৬০)এর নেতৃত্বে তার ছেলে সুবল চন্দ্র শীল (২৫),উজ্জ্বল চন্দ্র শীল(৩২), মেঘনাল শীল এর ছেলে সুমন শীল(৩৫)সুশান্ত শীল (৩০)হঠাৎ করে বিকেল বেলা মুজিব বাদী কবি রিগান রদন এর বাড়িতে ঢুকে তার ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে।সেই মুহূর্তে তার বড় ভাই শান্তির হাট ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ চন্দ্র বের হয়ে কি হয়েছে জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কামেশ্বর এর ছেলেরা পিছন থেকে এসে পলাশ চন্দ্র,রিগান রদন এর স্ত্রী পিপাসা রানী,তার বড় ভাই মনেজা খাতুন গার্লস স্কুলের শিক্ষক গৌতম কুমার মজুমদার কে এলোপাতারি মারতে শুরু করে।এ ঘটনা গুরুতর আহত হয়ে তারা তিনজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে
এ বিষয়ে রিগান রদনের স্ত্রী পিপাসা রানী বলেন, আমাদের বাড়ির পাশের বাড়িতে একটি গাছ কাটতে ছিল।কামেশ্বর চন্দ্র শীল এর বৌ মনে করেছিল ঐ গাছটি আমরা কেটেছি।বিষয়টি না জেনে না শুনে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির ভিতরে এসে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলতে চায়,সেই মুহূর্তে আমার স্বামীর বড় ভাই কি হয়েছে জানতে চাইলে ওরা দলবল নিয়ে হঠাৎ করে আমাদের কে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।মারধরের এক পর্যায়ে আমাদের ডাক-চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এসে আমাদের কে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে কঠিন শাস্তি দাবি করছি।এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষক পলাশ চন্দ্র বলেন,কোন কারণ ছাড়া অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে আমাদের উপর হামলা চালায় এবং আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে।আমরা এই অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে মুজিব বাদী কবি রিগান রদন বলেন, এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন উক্ত মামলার আসামি সুবল চন্দ্র শীল,সুমন চন্দ্র শীলকে আটক করেছে।তিনি আরো বলেন,তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার কারণে এরা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।কামেশ্বর চন্দ্র শীল আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, জেল থেকে ওরা বের হয়ে গেলে আমাদেরকে দেখে নিবে।আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি,প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার কঠিন বিচারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন)রেজাউল করিম রাজিব জানান,এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এজাহারভুক্ত আসামি সুবল চন্দ্রশীল ও সুমন চন্দ্র শীলকে আমরা আটক করতে সমর্থ হয়েছে।আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এজারভুক্ত অন্যান্য আসামিদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পারব।