ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির বিরুদ্ধে।ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই ঘর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক গংরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর ইলিশা গ্রামের রাস্তার মাথার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাসিম ও সাদেক জমাদার গংদের সাথে আব্দুল জলিল,ইব্রাহিম ফরাজী,শাহাবুদ্দিন সিকদার,সাদ্দাম শিকদার ও কালু মিয়া গংদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে অনেক দিন ধরে।শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়।এর প্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর নির্মাণ এর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইব্রাহিম ফরাজি গংরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,বিরোধপূর্ণ জমিতে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।সেখানে বর্তমানে ছাদ ঢালাই এর কাজ চলমান রয়েছে।তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে অভিযুক্ত ইব্রাহিম ফরাজীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অবগত নয় বলে সাংবাদিকদের জানান এবং সাথে সাথে আর কাজ করবে না বলেও সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।কিন্তু তার কিছু সময় পরই সাংবাদিকরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করলে আবারও আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সেই বিরোধপূর্ণ জমিতে ছাদ ঢালাই এর কাজ শুরু করেন।কাজ করছে এর প্রমাণস্বরূপ চলমান কাজের ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইব্রাহিম ফরাজি গংরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আব্দুল মালেক গংদের দুই নারীসহ তিন জনকে গুরুতর আহত করেন।আহতরা বর্তমানে ভোলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।এবিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহিম ফরাজী সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন ফকির জানান এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।