ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হতে যাচ্ছে ১৫ মার্চ।এতে বাজার বাড়ার সঙ্গে বন্দর এলাকার ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের মাঝে অস্থিরতা বেড়েছে।ব্যবসায়ীরা জানান,পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার আশায় পেঁয়াজের মজুদ করবে।ফলে দেশের বাজার পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্বেও সিন্ডিকেটের কারণে বাড়বে পেঁয়াজের দাম।বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আমদানি উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের পণ্য আমদানি পারমিটের সার্ভারে আইপির আবেদন করলে সেই আইপি মেয়াদ দেয়া হচ্ছে আগামী ১৫মার্চ পর্যন্ত।অথচ নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবে আইপির আবেদন করলে সেই আইপির মেয়াদ দেয়া হয় ৯০ থেকে ১২০ দিন।এছাড়াও বিশেষ ক্ষেত্রে আবেদন করলে আইপির আরও বৃদ্ধি করা হয়।এসব বিষয় নিয়ে সোমবার-১৩ মার্চ-২০২৩ইং সন্ধ্যায় হিলি বন্দরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের নেতারা এ সময় তারা পেঁয়াজের আমদানি পারমিট(আইপি) সচল রাখতে সরকার প্রধানের কাছে অনুরোধ জানায়।অন্যথায় আসন্ন রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে বলে মত দেন।বন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম রেজা বলেন — আমরা যারা ছোট ব্যবসায়ী আছি,তারা চাহিদা অনুযায়ী পিঁয়াজসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানী করি।তবে ১৫তারিখ থেকে আইপি বন্ধ হওয়ার খবরে কিছু বড় ব্যবসায়ী পেঁয়াজের মজুদ করছে।তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।এতে আমাদের পাশাপাশি ভোক্তারা ক্ষতিতে পড়বে।তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করবো যে এই বিষয়টি যেন গুরুত্বের সাথে দেখে।
আবার ও আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন-সব দিক বিবেক-বিবেচনার মাধ্যমে আমরা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।
আরও আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম ১৫তারিখে আইপি বন্ধ হওয়ার খবরে কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদের যুদ্ধে নেমেছে।রমজান আসছে বাকি আর মাত্র কয়েক দিন।এরমধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলে রমজানে ক্রেতাদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করছেন রমজান শেষে ঈদ পর্যন্ত পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করেছেন।