মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১২কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছেন সরকার।তাঁরা সবাই বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।তাঁদের মধ্যে নোয়াখালি কারাগারের দুজন,যশোর জেলার তিনজন এবং বান্দরবান,মেহেরপুর,মানিকগঞ্জ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ,কুমিল্লা,বরিশালের একজন বন্দি রয়েছেন।কারা সূত্র জানা গেছে,কারাবন্দিরা সবাই লঘু অপরাধে দণ্ডিত এবং অর্ধেকের বেশি সময় সাজা ভোগ করেছে।এদিকে কারা সূত্রে আরো জানা গেছে,বান্দরবান কারাগার থেকে একজনকে এরইমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।প্রতিবছরই বিজয় দিবসের আগে কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।এ বছরও অনেকের নাম ছিল।শেষ পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন জেলার ১২জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে টিংকু দে নামে একজনকে মুক্তি দিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি,জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম,ডেপুটি জেলার স্বপন কুমার ঘোষ।তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কেলিশহরে।এদিকে কারা মুক্ত হয়ে টিংকু দে জানান,অনেক ভালো লাগছে,কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছি।এখন ছোট একটা পানের দোকান করে আয় করব।
জানা যায়,টিংকু দেকে ২০১৮ সালে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় তিন বছরের বিনাশ্রম এবং ৫হাজার টাকা অনাদায়ে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত,২১মাস ১৭দিন রেয়াতসহ হাজত বাস করেন টিংকু।বান্দরবানের জেল সুপার জান্নাত উল ফরহাদ জানান,কারাবন্দিরা সবাই লঘু অপরাধে দন্ডিত এবং অর্ধেকের বেশি সময় সাজা ভোগ করেছেন।বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে তিনজনকে মুক্তি দেয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম।সবকিছু যাচাই বাছাই করে একজনকে মুক্তি দেয় সরকার।
এদিকে টিংকু দে’কে মুক্তি দেওয়া শেষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সরকার ছোট খাটো অপরাধীদের মুক্তির বিষয়ে তালিকা চান।যারা সাজা ভোগ করে ফেলেছেন, তাদের আচার আচরণ যদি ভালো সে ধরনের আসামীদের মুক্তির জন্য তালিকা চান সরকার । আমরা তিনজনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম । সরকার যাচাই বাছাই করে বান্দরবান জেলার একজনকে মুক্তি দিয়েছে।সারা দেশ থেকে এবার মোট ১২জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।