বাঙ্গালহালিয়া প্রধান সড়কে হাটু সমান পানি,ভোগান্তিতে বাজারে ব্যাবসাহী ও গ্রামবাসী
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালহালিয়া বাজারটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জনসাধারণের চোখে দৃষ্টিনন্দন একটি অন্যতম স্থান। বাজার উপর দিয়ে রাঙ্গামাটি বান্দরবান, খাগড়াছড়ি যাতাযাতের এক মাত্র মাধ্যম। তেমনি রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বান্দরবান জেলায় চলাচলের প্রধান সড়ক। রাস্তাটির পাশ ঘেঁষে রয়েছে দশমাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজার ও রাজারহাট বাজার। বিশেষ তিনটি দিকে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্রগ্রাম যাতায়াতের অন্যতম বাঙ্গালহালিয়া সিএনজি অটোরিকশা ও বান্দরবানের বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডে একটু বৃষ্টি পড়লেই পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা বৃষ্টির পানি গুলো বাজারে উপর দিয়ে পতিবাহিত হয়।
অন্য দিকে বাজারে অধিকাংশ মালিকানা ও সরকারি কিছু জায়গা গুলোতে মার্কেট ও বিল্ডিং তুলে পানির চলাচলের বাজারে সরকারি ড্রেন বন্ধ করে ফেলে।
এতে করে উপরের থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানি চলাচলের নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গুলো বেক্তি দখলে চলে যাওয়ায়, একটু বৃষ্টি হলেই বাজারে প্রধান সড়কের মাঝ খানে হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। বৃষ্টির সময় এমনটা দেখা যায়, পানি যখন একটু বেশি হয় অনেকে জাল দিয়ে মাছ ধরছে, রাস্তায় মাঝে মাছ পেয়ে খুশি অনেকেই। তবে বাসস্ট্যান্ড,ডাকবাংলা পাড়া, শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির পিছনের পাড়া রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এ রাস্তার ১ থেকে আধা কিলোমিটার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় হাটু পানি। ফলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
শুক্রবার ও শনিবারের বৃষ্টিতে রাস্তার কোথাও হাটু পানি কোথাও তার চেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। বাঙ্গালহালিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শামসুল আলম বলেন বাঙ্গালহালিয়া বাজার একটি জনবহুল বাজার।প্রায় ৫৫০ টি বড় ছোট দোকান পাঠ রয়েছে। আমরা ছোট কাল থেকে দেখে আসছি এখটু বৃষ্টি হলেই বাজারে হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। বাজারে দীর্ঘ দিনের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন গুলো দখল হয়ে যাচ্ছে।তাতে করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছোট হয়ে যাওয়া ঢলের পানি বাজারে ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে একটি জেলা সংযোগ সড়কের এমন অবস্থা খুব দুঃখজনক বলে জানান। বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পুলক চৌধুরী বলেন বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বান্দরবান বাস কাউন্টারের সামনে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুইটি ফাইব দিয়ে ছিলো তৎকালীন সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ইসিবি।পরে সড়ক সংস্কার করার সময় দুইটি ফাইবের মধ্যে একটি ভরাট হয়ে যায়। সেখান থেকে পানি নিষ্কাশনের অবেবস্তার কারনে এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন। রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন প্রতি বছর বর্ষা আসলেই বাঙ্গালহালিয়া বাজার সহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি পাড়া বসবাসরত মানুষের ভিটা পানিতে ডুবে থাকেন। তাই বাঙ্গালহালিয়া দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পাশ ঘেঁষে বান্দরবান বাস কাউন্টার পর্যন্ত একটা বড় পরিসরে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটা ড্রেন নির্মাণ করা জরুরি। এবং কাউন্টারের সামনে পানি নিষ্কাশনের একটি কালভার্ট নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।