খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা কিসমত ফুলতলা এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও খুলনার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আলোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বাদী মোঃ মনিরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ ভিত্তিতে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বটিয়াঘাটা থানার সামনে গতকাল ২৭ মে শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।উক্ত মানববন্ধনে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,কিছুদিন পূর্বে বারোআড়িয়া এলাকার হিরামন মন্ডল ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক তুরান দুইজন মিলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার কাছে গিয়ে বলে,আপনার বিরুদ্ধে থানায় নারী নির্যাতন ও জমি দখলের অভিযোগ হয়েছে।আপনি ও একটা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।যদি আমাদের ৫ হাজার টাকা দেন তাহলে নিউজটা আপনার পক্ষে করবো অন্যথায় নিউজ টা আপনার বিপক্ষে যাবে।তখন আমি বলি আমি খুলনার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলার বাদী।আমি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা কোন টাকা দিবো না।তিনি আরো বলেন,আমি অপরাধ করলে এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে আমার বিচার করবে।উক্ত দুই ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে দৈনিক গণকথা,খুলনার কাগজ সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে যে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।মানববন্ধনে বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এস এম মামুন বলেন,বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমরা উক্ত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এসময় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ফিরোজা বেগম হিরো সহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,মানববন্ধনে সবাই উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,স্থানীয় মুদি দোকানী শাহিনুর বেগম দীর্ঘদিন ধরে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুল ইসলামের ব্যাক্তিগত জমিতে জোরপূর্বক দোকানদারি করে আসছেন।এই সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে জমি ছেড়ে দিতে বলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ও তার পরিবারের উপর চড়াও হয় । এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগও করেছে।গত ২১ মে শাহিনুর বেগম দোকানে বসে মনিরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তখন তার স্ত্রী লতিফা বেগম ও মেয়ে সাবিনা বেগম দোকানের সামনে যেয়ে কারণ জানতে চাইলে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।উক্ত ঘটনায় উভয় পক্ষ বটিয়াঘাটা থানায় ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ দায়ের করেছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন,শুনেছি আজ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুল ইসলামের পক্ষে একটা মানববন্ধন হয়েছে।উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি অভিযোগ হয়েছে।উভয়ের দুটি অভিযোগের তদন্ত চলছে।তদন্ত শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।