বগুড়ায় এক প্রকৌশলী ও এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলার অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন।আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের মতে, সত্যের জয় হয়েছে।বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির গত ১০ নভেম্বর ২০২২ইং, বৃহস্পতিবার এই রায় প্রদান করেন।
এই রায়কে সত্যের জয় উল্লেখ করে সংবাদকর্মী শাফায়াত সজল বলেন,কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বগুড়া সদরের বারপুর স্কুলপাড়ার জনৈক ওমর ফারুক এর স্ত্রী মাকসুদা এই মিথ্যা মামলাটি প্রতিহিংসাবশত দায়ের করেন।যা তদন্তেই মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। যদি সত্যতা পেতো তখন আমরা আসামী হতাম। কিন্তু বাদীনি ও তার পরিবার আমাদের সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানী করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ছিলো।
বাদীর পক্ষে এ্যাডভোকেট একেএম আমানুল আজিম মাসুম বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-০১ এর আদালতে মামলাটি দায়ের পুর্বক শুনানীতে অংশ নেন।গত ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর মামলাটি দায়েরের পর মাননীয় বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগটি তদন্তের জন্য বগুড়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)এর কাছে পাঠান।পিবিআই এর পুলিশ সুপার আদালতের নির্দেশে পিবিআই এর এসআই আহসান হাবীবকে তদন্ত দেন।মামলাটি তদন্ত করে শুধুমাত্র ৫০৬ ধারা ব্যাতীত ১০ধারার অভিযোগ প্রমানিত হয়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদীনী এতে আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক ফের বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের কাছে পুনঃতদন্তের জন্য পাঠালে এসআই ফিরোজ সরকার পিপিএম একই ধরনের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।অপরদিকে বেকায়দা বুঝতে পেরে বাদিনী মামলা চালাতে অনিচ্ছা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক ওই আবেদন নাকচ করে মামলাটির কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি এই মর্মে আদেশ প্রদান করেন এবং মামলাটি খারিজ করে দেন।গত ১০নভেম্বর এই রায় প্রকাশের পর জাবেদা নকল তুলে মিডিয়ায় জানান,ভুক্তভোগী সাফায়াত সজল ও রসুল খন্দকার।তারা এই হয়রানীর বিচার চান।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে,বাদীনি ও রসুল প্রতিবেশি।তাদের দুই বাড়ির ছাদের পানি পড়ার (ছাচ)নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মনমালিন্য চলে আসছিলো।যা নিয়ে এলাকায় শালিসও হয়েছে।কিন্তু বাদীনির জেদের কারণে সমাধান সম্ভব হয়নি।ঘটনার দিন বাদীনি ও পরিবারের সদস্যরা রাস্তার মাঝে ড্রেন খোড়াকে কেন্দ্র করে রসুলকে আহত করে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে রসুলের পিতা সদর থানায় বাদীনি এবং তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করে যা পরবর্তীতে প্রসিকিউশন মামলা হিসাবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদরে যায়।উক্ত মামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রতিহিংসায় এই ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলাটি করেছিলো।
এস আই সুমন
স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া।
তারিখঃ ১৮/১১/২০২২ ইং