বগুড়ার সারিয়াকান্দি কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় বাঁধের কাঠামোর স্থায়িত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।বিগত ২০০১সালে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কালিতলা,দিঘলকান্দি ও দেবডাঙ্গা ২২৫কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রোয়েন বাঁধ ও হার্ড পয়েন্ট নির্মাণ করা হয়।এতে করে যমুনা নদীর ডান তীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে বসত-বাড়ি, ফসলি জমিসহ উপজেলা পরিষদের স্থাপনা রক্ষা পেয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বন্যার হাত থেকে রক্ষা করে আসছে। গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণের কারণে কালিতলায় যমুনা নদীর প্রবাহকে একদিকে যেমন বাধা প্রদান করেছে অন্য দিকে স্থাপনাটি এলাকায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।কিন্তু স্থানীয় লোকজন গ্রোয়েনের মাটির স্যাংক ম্যাট্রোসিন দখল করে অবৈধ ভাবে দোকানপাট ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় এর স্থায়িত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে অবৈধ দখলদারের স্থাপনা থাকার কারণে গ্রোয়েনটির রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান,জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনটি রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।গ্রোয়েন ও হার্ড পয়েন্টগুলোতে অবৈধ দখলদারদের নির্মিত স্থাপন দোকান-পাট ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করার জন্য তালিকা করা হয়েছে।অচিরেই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধের জমি সরকারি।সরকারি জমিতে অনুমতি ছাড়া কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না।কালিতলা গ্রোয়েনের ব্যাপারটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে,পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ চাইলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।গ্রোয়েন বাঁধের অবৈধ দখলদাররা জানান,যমুনা নদী ভাঙ্গনে সহায়-সম্বল হারিয়ে কোন উপায় না পেয়ে গ্রোয়েন বাঁধের উপর ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছি।আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো ভেঙ্গে দিলে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।
মোঃ ফরহাদ হোসেন-বগুড়া প্রতিনিধি
০১৭৫৫৪২৭৭৯২