চার বছর আগে বাবা হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান। অভাবের সংসারে দুই ভাইকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন মা শ্যামলী রানী। উপায় না পেয়ে দুই ছেলে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন শ্যামলী।খেয়ে না খেয়ে ছেলেদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন।পড়ালেখা শেষ করে একদিন প্রতিষ্ঠিত হলে শত দুঃখ কষ্ট দূর হবে। কিন্তু বাঁধ সাধে নিয়তি।উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হলেও অর্থের অভাবে প্রায় বন্ধের উপক্রম হয় পড়ালেখা।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেংমারী কুড়িয়ার পশ্চিম মান্দ্রাইন এলাকার হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শুভ চন্দ্রের এমন দুর্দশার কথা জানতে পেরে তার পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের মানবিক সহায়তা তহবিল থেকে শুভর পড়াশোনার খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দীন।শুভ রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার(৪ আগস্ট)সকালে শুভ এবং তার মাকে ডেকে নিয়ে শুভর কলেজ যাতায়াতের জন্য একটি বাইসাইকেলসহ প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ও এবং খাবার সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের হাতে একমাসের খাদ্য সহায়তা তুলে দেন ইউএনও।
শুভ চন্দ্র বলেন,বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা চালিয়ে আসছি।তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে মামা বাড়িতে বসবাস করছি।এই সংকটময় মূহুর্তে ইউএনও স্যার পাশে না দাঁড়ালে হয়তো পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে হত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন বলেন, মা-ছেলে দুজনে আজকে আমার অফিসে এসেছিলো।তাদের কষ্টের জীবন আর স্বপ্নগুলো আমি শুনলাম। মা-ছেলের স্বপ্ন পুরনে সাধ্যমতো চেষ্টা করিবো।