নড়াইলে মৎস্য অফিস থেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ।
বাজারে ১৫০/টাকা মাছের পোনা মিললেও সরকারি দামে ২৭২/টাকা ধরা হয়েছে পোনার কেজি।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মৎস্য অফিস থেকে সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৪শত ৭০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন চারা মাছের উৎপাদনকারী মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একই পোনা গুলো তাদের কাছে ১শত ৫০ টাকা কেজি দর কিন্তু মৎস্য অফিস থেকে পোনা ক্রয় করেছে ২শত ৭২ টাকা কেজি দরে।
এ যেন শুভংকরের ফাঁকি, দেখেও দেখছে না কেউ,
মাছের চড়া দরের বিষয়ে পোনা উৎপাদনকারী নড়াইল সদরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের টুকু শিকদার মুঠোফোনে বলেন এজাতীয় মাছগুলা তিনি ১শত ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
তাহলে কি মাছের পোনা ১শত ২২ টাকা বেশি দিয়ে কোনো উন্নত মানের পোনা করায় করা হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম বদরুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ২০২২/ও ২০২৩, অর্থবছরে লোহাগড়া উপজেলায় ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, টেন্ডারের মাধ্যমে মাছ ক্রয় হয়েছে যারা সর্বনিম্ন দরদাতা তাদের মাছ ক্রয় করা হয়েছে, আর মাছ কম দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার জানা নাই, অফিসে তো নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পোনা উৎপাদনকারীরা এখানে যোগাযোগ করলে তো কম দামে পণ্য কেনা যেত।
কিন্তু লোহাগড়া মৎস্য অফিসের কোনো নোটিশ বোর্ডে কোন মাছের টেন্ডারের নোটিশ টানানো দেখা যায় নাই।
২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে মেসার্স কাশিয়ানী ট্রেডার্স যার প্রোপাইটার এইচ রাসেল কিন্তু সেখানে তার মাধ্যম হয়ে হিরাঙ্গীরের নিকট থেকে ওই মাছের পোনা ক্রয় করে অবমুক্তকরণ করতে দেখা গেছে।
ঠিকাদারের মাধ্যম হিরাঙ্গীর এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যায়।
এই পোনা অবমুক্তকরণ গোপন টেন্ডারের বিষয়ে নামপ্রকাশে অনেকেই বলেন নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে গোপন টেন্ডারের সাথে মৎস্য অফিস জড়িত রয়েছে।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে নোটিশবোর্ড এটা নিয়ে পোনা ক্রয় করার নিয়ম। এবং চড়া দরে পোনা কেনা হয়েছে কি না বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
মোবাইলঃ ০১৯২০২৮১৭৮৭/০১৭০৫১৯৩০৩০