নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বগজুড়ী ঘাট এলাকায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে চর আড়িয়ারা গ্রামের ইব্রাহিম ফকিরের বিরুদ্ধে।ছিনতাইয়ের কবলে পড়া লোহাগড়া উপজেলার চাচই/ ধানাইড় গ্ৰামের রাজমিস্ত্রী,এবং ভাড়াই মোটরসাইকেল চালক রাজিব বিশ্বাস ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম একটি মৃত্যুর ঘটনায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাওয়ার পথে বগজুড়ী ঘাট এলাকা পৌঁছালে ৮/১০ জন নেশাগ্রস্ত মাতাল বকাটে যুবকরা এসে আমেনা বেগমের পথ রোধ করে সকলে মিলে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে আপত্তিকর কথা বলে এসময় তার ৩০হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ও ১২আনা ওজনের ১টি সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ওই বকাটে যুবকরা আর বকাটেদের নেতৃত্বে ছিলেন চর আড়িয়ারা গ্রামের লুৎফার ফকিরের ছেলে ইব্রাহিম ফকির।আমেনা বেগম বলেন, উক্ত ঘটনার সময় আমি একজন কে চিনতে পেরেছি তার বাড়ি চর আড়িয়ারা গ্ৰামে সে লুৎফর ফকিরের ছেলে ইব্রাহিম ফকির এবং তার সাথে আরো ৮/৯ জন ছিল, সকালে ই মাতাল অবস্থায় ডুলে ঢেলে শরীরের উপর পড়তে থাকে তখন তারা আমার মোবাইল ফোন ও সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এবং আমাদের মোটরসাইকেলের চাবি নেয়ার জন্য অনেক ধস্তাধস্তি করে আমরা কৌশলে সেখান থেকে সরে পড়ি,এরপরে আমরা স্থানীয় লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে তাদের না পেয়ে ওপারে ওই মৃত্যু বাড়িতে যায়,এর পরের দিন আমাদের বাড়িতে এসে বিষয়টি জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুমনকে অবগত করি। এবং চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন এর কাছে ন্যায্য বিচারের দাবি জানাই।
এ ঘটনায় ইব্রাহিম ফকিরের পিতা লুৎফার ফকিরের সাথে তাদের বাড়িতে যেয়ে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় অনেক লোক উপস্থিত হয় সেখানে তখন সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসে।এ ঘটনার পর থেকে ইব্রাহিম ফকির গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি, খুবই দুঃখজনক ঘটনা, আমি ছেলে পক্ষের গ্রামের মানুষদের কাছে কঠিন বিচার চেয়েছি।তারা আমার কাছে ঘটনা স্বীকার গিয়েছে বুধবারে মিটিং এর দিন রয়েছে সঠিক মীমাংসা না হলে আমি ওই মেয়েদের সাথে যেয়ে মামলার বিষয় লড়বো। ন্যায্য বিচারের দাবিতে।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
মোবাইল ০১৯২০২৮১৭৮৭ /০১৭০৫১৯৩০৩০.