নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জিপিএস এর মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।তার ফলাফল প্রদর্শন করে খামারীদের মাঝে পরিচিত ও জনপ্রিয় করা হয়েছে তাতে পরবর্তিতে বিস্তার লাভ করে থাকে।সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জিপিএস এর মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে খামারের উৎপাদন এবং আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রযুক্তিসমূহ খামারীর নিকট গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে।এজন্য বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে তা প্রদর্শনীর মাধ্যমে পরিচিত করতে হবে যা ইতিমধ্যে প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রযুক্তিসমূহ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং যা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করে খামারীগণ আর্থিকভাবে লাভবান হতে যাচ্ছে।
এর বাহিরে কিছু নিবন্ধন বিহীন ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।এমন ব্যক্তিবর্গ সরকারের অর্পিত আইন ভেঙে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।এলক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন এলাকায় প্রাণিসম্পদ-এর বিভিন্ন ভ্যালু চেইনের ৪৬৫টি প্রদর্শনী খামার স্থাপনের সংস্থান রয়েছে।প্রস্তাবিত প্রদর্শনী খামার সমূহ প্রকল্প এলাকার চাহিদা,সম্ভবতা,প্রাণিসম্পদ-এর বিভিন্ন প্রজাতির ঘনত্ব এবং ডেইরি ও গরু হৃষ্ট-পুষ্টকরণ উৎপাদনকারী দলের আনুপাতিক সংখ্যানুসারে সংশ্লিষ্ট খামারে নতুন এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।প্রদর্শনীর মাধ্যমে খামারীদেরকে উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনার সহিত সম্পৃক্ত করে লাভজনক ভাবে ব্যবসা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রদর্শনীর জ্ঞান ও ফলাফলকে মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত করা।এ নির্দেশনাটি শুধুমাত্র ডেইরি প্রদর্শনী খামার স্থাপনের জন্য প্রযোজ্য হবে যার বিবেচ্য বিষয়াবলী-প্রদর্শনী খামারী প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উৎপাদনকারীদল (PG)বহির্ভূত হবেন।প্রদর্শনী খামার সমূহের খামারীর নিজস্ব জমিতে আদর্শ ও উন্নত ব্যবস্থাপনা সম্বলিত সুযোগ-সুবিধা রেখে স্থাপন করা হয়েছে প্রদর্শনী খামারসমূহ প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আলোচ্য নীতিমালার ভিত্তিতে স্থাপন করা হয়েছে প্রদর্শনী খামারসমূহ অবশ্যই প্রকল্প এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং প্রকল্প এলাকায় ডেইরি ভ্যালু চেইন-এর ম্যাপিং অনুসারে প্রদর্শনী খামার সমূহ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।প্রদর্শনী খামার নির্বাচন,স্থাপন ও পরিচালনা পদ্ধতি-ডেইরি খামার,খামারী নির্বাচনের মানদন্ডঃ খামারীর কমপক্ষে ৪টি দুগ্ধবতী সংকর জাতের গাভী থাকতে হবে যার মধ্যে এবং অন্তত-২টি দুগ্ধদানরত থাকবে যা হতে বছর ব্যাপী খামারে দৈনিক গড়ে ১০লিটার দুধ উৎপাদন হবে।ঘাস চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জমি থাকতে হবে এবং তিনি উক্ত জমি প্রদর্শনীর কাজে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক থাকবেন।খামারে প্রয়োজনীয় স্থাপনা যেমন- গরুর থাকার জায়গা,খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা ইত্যাদি থাকতে হবে।খামারীর নিজস্ব সাইলেজ পিট থাকতে হবে অথবা নিজ খরচে প্রকল্প কর্তৃক নির্ধারিত ডিজাইনের সাইলেজ পিট তৈরী করতে হবে খামারীর নিজস্ব সচল বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট থাকতে হবে অথবা নিজ খরচে প্রকল্প কর্তৃক নির্ধারিত ডিজাইনের বায়ো-গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে।খামারীকে অবশ্যই উদ্ভাবনী ও প্রগতিশীল হতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী হতে হবে।খামারী কর্ম-এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও স্থানীয়ভাবে পরিচিত হতে হবে এবং প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।খামারের তথ্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজনে খামারী বা পরিবারের কোন সদস্য শিক্ষিত হওয়া বাঞ্চনীয়,খামারীর নিজ খামার পরিচালনায় কমপক্ষে ৩বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খামারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।এলডিডিপি ও ডিএলএস কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণে তাঁকে আগ্রহী থাকতে হবে।খামারে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অন্যান্য কৃষক,খামারীদের মাঝে সম্প্রসারণের ফলাফল ও পদ্ধতি প্রদর্শনে লক্ষ্যে মাঠ দিবস আয়োজনের জন্য সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।অত্র প্রকল্প থেকে একই ধরণের অন্য কোন সহায়তা পেয়েছেন এমন কোন খামারীকে নির্বাচন করা যাবে না।সুনির্দিষ্ট প্রকল্প সহায়তা ব্যতীত প্রয়োজনে আনুসাঙ্গিক ব্যয় বহনে রাজী ও সক্ষম হতে হবে।যুবক,নারী ও ট্রান্সজেন্ডার খামারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে এবং প্রদর্শনী খামার স্থাপন ও পরিচালনায় নিন্মোক্ত শর্তাবলী পালনে তিনি সম্পূর্ণরূপে সম্মত হবেন-প্রকল্প কর্তৃক নির্ধারিত ডিজাইনের গাভীর সেড নির্মানের জন্য কমপক্ষে ২৫ফুট×১৫ফুট জায়গা এবং সাইলেজ পিট ও বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য চাহিদা অনুসারে পর্যাপ্ত নিজস্ব জায়গা দিতে হবে অন্যের জায়গা কিংবা ভাড়া বা চুক্তি ভিত্তিক হবে না।প্রতিটি প্রদর্শনী খামারে চলাচলের জন্য ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে উহা অনান্য সাধারণ খামারীদের নজরে আসে এবং যাতায়াতসহ পশু আনা-নেয়ায় সুবিধা হয়।খামারটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ,পরিষ্কার,বন্যামুক্ত এবং খোলামেলা স্থানে স্থাপন করতে হবে।এলডিডিপি অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা করে খামারের সেড নির্মান বা সংস্কার করা হবে।খামার নির্মান,সংস্কারে এবং উপকরণ সংগ্রহে খামারী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে,খামারের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশগত ভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।খামারে বিদ্যুৎ সংযোগ সহ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সু-ব্যবস্থা থাকতে হবে, প্রদর্শনী খামারের নিকটবর্তী এলাকার প্রাণী চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে এবং খামার স্থাপনের জন্য সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। খামারী নির্বাচন প্রক্রিয়াঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত নিন্মোক্ত কমিটি কর্তৃক আগ্রহী খামারীর নিকট হতে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে,খামারী নির্বাচন,জাচাই কমিটি’র রূপরেখা ক্রমিক নং কর্মকর্তা,প্রতিনিধির নাম কমিটিতে অবস্থান সভাপতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(সংশ্লিষ্ট উপজেলা)উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা(LEO)সংশ্লিষ্ট উপজেলা উপসহকারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(জেষ্ঠ্যতম-সংশ্লিষ্ট উপজেলা)সভাপতি ও সম্পাদক,ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশন(সংশ্লিষ্ট উপজেলা)ভেটেরিনারি সার্জন(VS)সংশ্লিষ্ট উপজেলা,ভিএস-এর অবর্তমানে LEO সদস্য-সচিব কমিটি নির্ধারিত মানদন্ডের ভিত্তিতে আগ্রহী খামারীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই পূর্বক ৩জন খামারীর একটি তালিকা সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ হয়েছে।তার মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য আফসারকে দেওয়া হয়েছে।