নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাটনা গ্রামের নিকাহ্ রেজিস্টার এর রোষানলে এক যুবতী নিকাহ নামা চাওয়ায় নানা ধরনের তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৭মে পাটনা গ্রামের সালাম খানের যুবতী মেয়ে দিনা খানমের সাথে ওই ইউনিয়নের চোরখালি গ্রামের মতিন খানের ছেলে সোহেল খানের বিবাহ হয়। বিবাহ সম্পন্ন হয় মতিন খানের বাড়িতে।মাওলানা আসাদুজ্জামান উপস্থিত থেকে ৫লক্ষ টাকা কাবিনে নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন করেন।
ওই নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আসাদুজ্জামানের নিকট ভুক্তভোগী যুবতী দিনা খানম কয়েকবার নিকাহ নামা চেয়ে আসছে।কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রার আজ পর্যন্ত ওই যুবতীকে নিকাহ নামা দেন নাই। তাছাড়া ওই যুবতীকে হুমকি ধামকি প্রদান করেন দমিয়ে রেখেছে। করতে চান বিবাহের কথা অস্বীকার।
ভুক্তভোগি যুবতীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চোর খালি গ্রামের সোহেল খানের সাথে আমার শরিয়ত ও রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক বিবাহ সম্পাদন হয়েছে।এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আসাদুজ্জামান উপস্থিত থেকে নিকাহের সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পাদন করে ছিলেন।
বিবাহের ২১দিন পর আমার স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সেই থেকে নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আসাদুজ্জামানের নিকট নিকাহ নামা চাইলে তিনি আমাকে হয়রানি করেন এবং আমাকে নিকাহ নামা না দিয়ে উল্টো পাল্টা হুমকি ধামকি দেন।আমার কাবিন নামা না থাকায় স্বামীর বাড়িতে উঠতে পারছিনা। নিকাহ নামা তো আমার বিবাহের দলিল। নিকাহ নামা না থাকায় আমি কোন আইনের আশ্রয় নিতে পারছিনা।কারন আমার স্বামীর পরিবার খুবই প্রভাবশালী।আর নিকাহ রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামান আমাকে বলেন তুমি মিমাংসা করে নাও এই ঘটনা।
এবিষয়ে যুবতীর স্বামী সোহেল খানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগকারী যুবতী আমার বিবাহিত স্ত্রী তার সাথে আমার ধর্মীয় বিধান মতে বিবাহ হয়েছে আর নিকাহ্ নামার কথা বলছেন ওই নিকাহ্ নামা,নিকাহ্ রেজিস্টার মাওলানা আসাদুজ্জামান দুই নম্বরি করেছে। তাছাড়া ওই দিনা খানাম তৃতীয় লিঙ্গের সে হিজড়া।
খাসিয়াল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আসাদুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে নিকাহ নামা দেখতে চাওয়া হলে তিনি বলেন মিমাংসা হয়েছে কিন্ত নিকাহ নামা দেখাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এবং বলেন আমি নিকাহ নামা জেলা রেজিস্ট্রারকে দেখিয়েছি।আপনারা দেখার কে?
এ ঘটনায় নড়াইল জেলার,নিকাহ্ জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে নোটিশ করেছিলাম কিন্ত আমি অফিসে না থাকায় আমি নিকাহ রেজিস্ট্রারের ভলিউম বই দেখতে পারি নাই।তবে মিমাংসা হয়েছে শুনেছি।নিকাহ নামা ভলিউমে লিপিবদ্ধ থাকবে কিনা এবং ওই যুবতী নিকাহ নামা পাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন উত্তর দেন নাই।আরো বলেন রবিবার অফিসে আসেন কথা বলবো বলে ফোনটি কেটে দেন।
উল্লেখ্য যে ওই নিকাহ রেজিস্ট্রার ইতিপূর্বে এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন,মোটা অংকের টাকা নিয়ে বাল্য বিবাহ সম্পাদন করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।তাছাড়া তার রয়েছে বিলাশ বহুল বাড়ি।এই বাড়ি তৈরির অর্থের উৎস কোথায়?
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
মোবাইল ০১৯২০২৮১৭৮৭ /০১৭০৫১৯৩০৩০