নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৫০ নং চর-আড়িয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ,কে,এম সেলিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১সেপ্টেম্বর-২০২২ইং রোজ বৃহস্পতিবার নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না নেওয়াসহ একাধিক লিখিতভাবে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান প্রধান শিক্ষক এ,কে,এম সেলিমুজ্জামান মাঝে মাঝে অনুপস্থিত থাকেন এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোন শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করাননি।
এছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কারনে ও অকারনে চরম দুর্ব্যবহার করেন।জুনায়েদ নামের (৭) শিশুকে ভর্তি করতে গেলে,জুনায়েদের মা স্বর্ণা বেগম বলেন,আমাকে গায়ে ধাক্কা দিয়ে লাইব্রেরী থেকে বের করে দেন।পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়া (১১) এর সাথেও দুর্ব্যবহার করার কারণে গত (৪ এপ্রিল ২০১৬) সালে উক্ত ছাত্রী আভিমান করে আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করে।এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য কর পরিস্থির সামলাতে এলাকাবাসী শিক্ষক হিসাবে ছাড় দেন।তার স্বেচ্ছাচারী আচরণে কারণে অনেক অভিভাবক বাধ্য হয়ে তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে ও মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন।বিদ্যালয়ের যেকোনো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কমিটি বা অভিভাবকদের সাথে উত্তেজনা মূলক আচরণ করেন।স্কুলের সহকারি শিক্ষকদের ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা।সভাপতির নির্দেশে কোন প্রকার মিটিং করে না।তিনার নিজের ইচ্ছামত কাজ করেন এবং তিনি সময়মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়না।স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষিকারা স্কুলে উপস্থিত হয়ে এসে প্রায় স্কুলের দরজা বন্ধ পায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানান অনিয়মের কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে যার কারণে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয় পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছেন এবং অভিভাবকও এলাকাবাসী তিনাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখতে চায় না।বসতবাড়ি জমি প্রদান করেন দাতা সদস্য মৃত ইসরাফিল মোল্লার ছেলে মো:আজম মোল্লার বিরুদ্ধে ও উদ্দেশ্য মূলক মিথ্যা অপবাদ ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রধান শিক্ষক ও উক্ত বিদ্যালয়ের আসার পর থেকে বিদ্যালয়ের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে ।
মো, হারুনুর রশিদ,মোজাহের মোল্লা,হেমায়েত, সাইফুল,পারভিন,মদিনা,সুলতানা, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকসহ প্রায় ৩০জন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ সরাফত আলী আলমাস জানান,আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম অভিযোগ আছে।আমরা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।এই বিদ্যালয়ের থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি।
অনিয়মের কথা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম সেলিমুজ্জামান কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।
লোহাগড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো সাইফুজ্জামান খান জানান, ৫০নং চর-আড়িয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি।তিনি আরও বলেন প্রধান শিক্ষক শারীরিক ভাবে অসুস্থ ও কানে কম শোনেন। এব্যাপারে তাকে আমি কানের মেশিন ব্যবহার করতে বলেছি।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।