নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আস্তাইল-চরআড়িয়ারা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন বালু ব্যাবসায়ীর ছেলে মেয়েরা ফলমুল খেয়ে জীবন দারন করে আর আমরা গুচ্ছগ্রামের অসহায় দুস্থ আমাদের সন্তানদের প্রতিনিয়ত বালু খেয়ে জীবন ধারন করতে হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায় চর আড়িয়ারা গ্রামের আকতার শেখের ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে বালুর ব্যাবসা করছেন।যে স্হানে বালুর চাতাল করেছে সেই চাতাল জয়পুর ইউনিয়নের আস্তাইল গুচ্ছ গ্রামের সাথে।এই বালুর চাতালের কারনে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ কারন বালু উড়ে তাদের ঘরবাড়ি ও খাবার নষ্ট হচ্ছে।আমাদের সেই বালুযুক্ত খাবার খেয়ে জীবন ধারন করতে হচ্ছে, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
এঘটনায় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মিরন শেখ,লিটন শেখ, রাফিক,এখলাচ হোসেন,রেখা বেগমসহ ২০/২৫ জন বাসিন্দা বলেন আমরা এমনিতেই অসহায়,দুস্থ আমাদের কোন ক্ষমতাধর মানুষ নাই, তাই আমাদের কোন কষ্টের কথা শোনার লোক নাই। এই বালুর চাতালের কারনে প্রতিদিন আমারা বালুযুক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।যারা বালুর ব্যাবসা করছে ওরা ক্ষমতাসীন ও টাকাওলা ওরা আমাদের মানুষ হিসাবে গন্য করে না।ওরা দামী খাবার ও ফলমুল খায় আর আমরা খায় বালু এইতো আমাদের জীবন। এখানে আমারা ৮০/৮৫ টি পরিবার বাস করি।আমারা এর সঠিক সমাধান চাই।
গুচ্ছগ্রামের সভাপতি কথা হলে তিনি বলেন এই বালুর চাতাল আমাদের হুমকির মুখে ফেলেছে।বালু উড়ে পরিবেশ নষ্ট, খাবারে বালু যুক্ত তাছাড়া যখন বালু ভর্তি ভলগেট ঘাটে ভিড়ে তখন ঘাটে কম্পন হয় সে কারনে নদী ভাংগন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
অপরদিকে বালু ব্যাবসায়ী জসিম শেখের সাথে কথা হলে তিনি দীর্ঘদিন যাবত বালুর ব্যাবসা করছি। আমি জমি লীজ নিয়ে এই ব্যবসা করি।গুচ্ছগ্রামে বালু গেলে আমি কি করবো।আমি মাঝে মধ্যে বালুতে পানি দিয়ে থাকি।
এঘটনায় জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন এই বালুর চাতাল পরিবেশ দূষন করছে।আমি বিষয়টি এমপি মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।তারপর ও বালুর ব্যবসায়ি জসিম কোন অদৃশ্য শক্তি দিয়ে এই ব্যবসা কাজ করে যাচ্ছে তা আমার জানা নাই।তবে আমার অসহায় জনগনের স্বার্থে, পরিবেশের স্বার্থে আমি দ্রুত প্রতিকার চাই।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
মোবাইল ০১৯২০২৮১৭৮৭ /০১৭০৫১৯৩০৩০