নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের, জয়পুর ফুলি কাজীর মৌড়ে অবস্থিত একটি অসহায় পরিবারের বসবাস করেন
সেই অসহায় পরিবার হলেন,শুকুমার বিশ্বাস পূর্ব পুরুষ থেকে ওখানে ই তাদের বসবাস।শুকুমার বিশ্বাস দীর্ঘ ১৮/বছর পূর্বে তাদের বসত ভিটা থেকে আড়াই শতাংশ জমি মিহির কর্মকার কে লিখে দিবে।মিহির কর্মকার তাহার জয়পুর মৌজার বাগান ভিটা থেকে পনেরো শতাংশ জমি লিখে দিবে এবং সাথে একলক্ষ টাকা নগত প্রদান করবে।
এসময় উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮/বছর পূর্বে মিহির কর্মকার প্রতারনা করে শুকুমার বিশ্বাসের বসত ভিটা তার মামা বিজয় কৃষ্ণ সিকদার(ছোটো গুসাই) এর নামে থাকা জমি সু কৌশলে লক্ষী পাশা সাব রেজিস্টার অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করে নেয়।আর বাকি থেকে আধা শতাংশ রেকর্ডের জমি ও ২শতাংশ খামারের জমি।
এবং শুকুমার বিশ্বাস কে মিহির কর্মকার ওই পনেরো শতাংশ জমি রেস্ট্রি না করে দিয়ে বিভিন্ন তাল বাহানা দিয়ে ১৮/ বছর পার করেছেন মিহির কর্মকার, উল্লেখ্য বিষয় শুকুমার বিশ্বাস তার সেই পৈত্রিক সম্পত্তির ভিটাতেই আছেন।এবং মিহির কর্মকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া পনেরো শতাংশ জমিটি ও শুকুমার বিশ্বাস এর দখলে আছে।
দুই পক্ষের বিরোধ নিরসনে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশ বৈঠক করেন লোহাগড়া পৌর কমিশনার বিশ্বনাথ দাশ ভুন্ডুল,জয়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন,ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।উক্ত সালিশ নামায় উল্লেখ থাকে যে,শুকুমার বিশ্বাস যে জমির উপর বসবাস করিতেছেন তাহা ছেড়ে দিবে।ঘর দরজা ভেঙে নিয়ে মিহির কর্মকার এর দেওয়া জয়পুর মৌজার পনেরো শতাংশ জমির উপর ঘর তৈরি করে বসবাস করবে।
এবং মিহির কর্মকার,শুকুমার বিশ্বাসকে নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করবে।ও নিজ খরচে মিহির কর্মকারের কাছ থেকে ওই পনেরো শতাংশ জমি রেস্ট্রি করে নিবে।দুই পক্ষের স্থাপনা যার যার জমি থেকে সরিয়ে নিবে। পরিশেষে ৩০০ টাকার স্ট্যামে উপরের উল্লেখিত বিষয়াদী উল্লেখ করে মিহির কর্মকার ও শুকুমার বিশ্বাসসহ ২ পক্ষের ৪জন সাক্ষীর নামসহ ওই ষ্টামে স্বাক্ষর লিপিবদ্ধ করা হয়।
কিন্তু মিহির কর্মকার এর ইচ্ছে কিছু অসাধু মানুষের টাকা দিয়ে তাদের সব জমি দখল করে ওই পরিবারকে উচ্ছেদ করার।
সাক্ষী:হাফিজার রহমান,চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন,শেখ আনিসুর রহমান,সরদার শওকত আহমেদ। ওই ষ্টামে আরো উল্লেখ থাকে যে,এই সালিশ যে অমান্য করিবে তার বিরুদ্ধে সালিশগন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
শুকুমার বিশ্বাস দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে সাংবাদিকদের কাছে দৃড় কন্ঠে বলেন,পূর্বের সালিশকে আড়াল করে মিহির কর্মকার টাকার জোরে আমাকে,আমার বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ভুন্ডুলের মাধ্যমে একটি ভূয়া নোটিশ দিয়েছে।এবং বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডূলসহ কিছু ভূমি দস্যুদের কে হেলিয়ে দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার পায়তারা দিচ্ছে।
শুকুমার বিশ্বাস আরো বলেন,আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।যে কোন সময় মিহির কর্মকারের টাকার কেনা মাস্তান দিয়ে আমার বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দিতে পারে।
এবিষয়ে মিহির কর্মকার এর সাথে কথা বলতে চাইলে প্রথমে তিনি বিষয় টা শিকার করেন।পরে সাংবাদিকদের বক্তব্য না দিতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যায়,
এবিষয়ে জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন ওই পরিবারের লোক আমার কাছে আসলে আমি কমিশনার ভুন্ডুল ও আর কয়েকজন মিলে মিটিং করে একটা রায় দিতে চেয়েছিলাম দুই পক্ষকে কিন্তু হঠাৎ করে কমিশনার আমাকে কিছু না জানিয়ে ওই পরিবারকে উচ্ছেদ করার জন্য মনগড়া একটি নোটিশ দিয়েছেন,চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন আরও বলেন আমি মনে করি ওই পরিবারের লোকদের সাথে অবিচার করা হচ্ছে।
তাই প্রশাসনের নজরে বিষয়টা এনে একটি সঠিক সমাধানের দাবি করেছেন তিনি।পরিশেষে অসহয় শুকুমার বিশ্বাস এর পরিবার তাদের শেষ মাটি টুকু রক্ষার জন্য প্রশাসনের সাহায্য কামনা করেছেন।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
মোবাইল ০১৯২০২৮১৭৮৭
০১৭০৫১৯৩০৩০