নড়াইলের মহাজন বড়দিয়া ফেরীঘাটে ফেরী অবস্থা করছে তবুও চালু হয় নাই।
নিউজ ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রতিবেদন নিউজ-
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা ও কালিয়া উপজেলার সীমান্তে সকলের পরিচিত বড়দিয়া ঘাট তবে এক সময় নৌবন্দর ছিল।এখনও আছে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। জেলার মধ্যে টিন বিক্রির সবচেয়ে বড় মোকাম।অত্র এলাকাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ বড়দিয়া হাটে ভীড় জমায়েত হইতো।স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়া যায় সওজের অবহেলার কারণে ফেরি চালু হচ্ছে না।সওজের কর্মকর্তারা বলেন জনবলসংকটের কারণে ফেরি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর মহাজন টু বড়দিয়া ঘাটে প্রায় ১বছর আগে ২টি ফেরি আনা হয়েছে।এখনও ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।ঐ এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পথচারীদের অভিযোগ সড়ক ও জনপথ(সওজ)বিভাগের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে ফেরি চালু হচ্ছে না।আবার সওজের কর্মকর্তারা বলেন ২মাস আগে ঘাটের সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে।জনবল সংকটের কারনে ফেরী চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।ঘাটের পশ্চিম পার্শ্বে মহাজন বাজার। এদিকে লোহাগড়া উপজেলা ও নড়াইল জেলা সদর এবং পূর্ব পাড়ে বড়দিয়া বাজার।নদীর ওপার নড়াগাতী থানা ও কালিয়া উপজেলা।জেলার মধ্যে টিন বিক্রির সবচেয়ে বড় মোকাম মহাজন ও বড়দিয়া অবস্থিত।বড়দিয়া ও মহাজন বাজার দুটি ২কিলোমিটারের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার।মহাজন ও বড়দিয়া বাজারে কয়েকটি ব্যাংক,এনজিওর কার্যালয় ও বড় খাদ্যগুদাম রয়েছে।এর আশপাশে রয়েছে মুন্সি মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ,বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়,ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টুনা ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও মহাজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আনুমানিক ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ও বেশি রয়েছে।স্থানীয় মাউলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোজী হক বলেন, নবগঙ্গা ও মধুমতী নদী পরিবেষ্টিত এলাকাটি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী জনপদ সকলেই অবগত।নদীবন্দরের কারণে একসময় আশপাশের জেলা থেকে এখানে বড় বড় ব্যবসায়ীরা মোকাম করতে আসতেন।সে ঐতিহ্যবাহী নদ ও মানুষের সমাগম এখন বিলীন হওয়ার পথে।অনেক আগেই এখানে সেতু হওয়া উচিত ছিল।সওজ ফেরি চালু করতে প্রায় এক বছর আগে দুটি ফেরি অবস্থা করছে কিন্তু এখনও চালু হই নাই।এই ঘাটে নৌকায় পারাপারের ব্যবস্থা।কোনো বড়গাড়ি পারাপার করা যায় না।গাড়ি পার করতে হলে ৩০কিলোমিটারের বেশি সময় ব্যয় করে গোপালগঞ্জের চাপাইল সেতু বা কালিয়া বারইপাড়া ফেরিঘাট দিয়ে আসতে হয়।যেমন দ্রুত অসুস্থ রোগী অ্যাম্বুলেন্সে নিতে হলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা নিতে হয়।আবার নড়াইল থেকে ঢাকায় নিতে হয়।মহাজন ঘাট পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস আসে।ফেরি চালু হলে নড়াগাতী ও কালিয়ায় বাস চলাচল করতে পারবে। প্রাইভেট কার,মাইক্রোবাসসহ ছোট পরিবহন চলতে পারবে।বড়দিয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন,বড়দিয়া ও মহাজন ঐতিহ্যবাহী পুরোনো বড় বাজার।ফেরি চালু না হওয়ায় পণ্য পরিবহনের জন্য কাভার্ড ভ্যান,ট্রাক,পিকআপ, ট্রলি,ভ্যান,নছিমন চলতে পারছে না।এই জন্য বর্তমান ঘাটে এসে কুলি বা লেবার দিয়ে পণ্য নামিয়ে নৌকায় ওঠাতে হয়।ভুগান্তির পাশাপাশি খরচও বাড়ে।এছাড়া উভয় পাড়ে নৌকার ঘাট সমতল নয়।একারনে ওঠানামা বিপজ্জনক বলে মনে করি।সরেজমিন দেখা যায়,মহাজন খেয়াঘাটের ১০০ফুট উত্তরে উভয় পাড়ে পন্টুন ও সংযোগ সড়ক প্রস্তুত আছে।মহাজন ঘাট পাড়ে পন্টুনের সঙ্গে দুটি ফেরি বাঁধা রয়েছে।কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন,ফেরি চালু না হওয়ায় জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সওজ বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি প্রয়োজনে আবারও কথা বলব নড়াইল জেলা প্রশাসনক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান খুব দ্রুত নিরসন হবে কারন কালনা সেতু চালু হবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে তারপর ফেরিতে লোকের কোন ঘাটতি থাকবে না।সওজের নড়াইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আশরাফুজ্জামান বলেন এক বছর আগে এ ঘাটে ফেরি আনা হয়েছে,তবে পন্টুন ও সংযোগ সড়ক প্রস্তুত ছিল না,২মাস আগে তা প্রস্তুত করা হয়েছে কিন্তু লোকবল সংকটে ফেরি চালু করা যাচ্ছে না। কালনা সেতু চালু হলে সেখানকার লোকবল দিয়ে এ দুটি ফেরি চালু করার চেষ্টা করা হবে।মহাজন ঘাট দিয়ে বড় ধরনের গাড়ী পাড় হয়ে গোপালগঞ্জ থেকে বিভিন্ন জেলাতে যেতে পারবে।