রিপোর্টারঃ আশিকুর রহমান শান্ত–বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য,সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী, ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য জননেতা তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের ও বাংলাদেশের অনেক বড় বড় নেতাদের ও নেতা।তার বর্নাঢ়্য রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ক্ষনিকের সহচার্যে নিজেকে ধন্য মনে করি।তিনি আমার রাজনৈতিক গুরু।এই নেতার কাছে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে।দল ও রাষ্টের দুঃসময়ে এই নেতার ভূমিকা এবং নেতৃত্ব বার বার উজ্জীবিত করেছে দলের নেতা কর্মীদেরকে।৬ দফা,ছাত্র আন্দোলন, ৬৯’ এর গণঅভ্যুত্থান,স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধ,বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া সহ এ দেশের আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান ইতিহাসের এক পটভূমি।তিনি জাতীয় সংসদের ৮ বারের নির্বাচিত সদস্য।তাকে ব্যাতীত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস বলা বা লেখা সম্ভব নয়।সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন,আমি হেমায়েত উদ্দিন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামে ১৯৭৩ ইং সালে আমার জন্ম।আমার পিতা মৃত মমতাজ উদ্দিন।আমার বাবা রাজাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
আমি ১৯৮৮ সালে ভোলা জিলা স্কুল থেকে মানবিক প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন হয়ে ১৯৯০ সালে ভোলা সরকারি কলেজ থেকে মানবিক প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে বিএ অনার্সে সুযোগ পেয়ে পড়া লেখা শুরু করি।ছোটবেলা থেকেই বাবার রাজনৈতিক সূত্র ধরে ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই এবং আমার অভিভাবক, আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা জননেতা তোফায়েল আহমেদ কে অনুসরণ করে একজন কর্মী হয়ে কাজ শুরু করি।
১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিজু-পঙ্কজ কমিটি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সভাপতি নির্বাচিত হই। খালেদা বিরোধী আন্দলনে ১৯৯৪ সালে খালেদা জিয়ার সরকার আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়ে হুলিয়া জারি করে।ওই মামলায় ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসেকারাবরন করি।পরবর্তিতে দল ক্ষমতায় আসলে জেল থেকে মুক্তি পাই।
২০০২-২০০৬ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের লিয়াকত-বাবু পরিষদের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করি।এ সময় রাজপথে অনেকবার পুলিশি নির্যাতনের শিকার হই। ২০০৫ সালের জুন মাসে পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হই।সেই অমানবিক নির্যাতনে আওমীলীগ সভানেত্রী,দেশনেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহযোগিতায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে বেঁচে যাই।
শরীরের সেই ক্ষত নিয়ে আজও বেঁচে আছি।বয়সের সীমাবদ্ধতার কারনে ছাত্রলীগ থেকে সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু করি। ২০১২-২০১৮ সালপর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করি।পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে ভোলা জেলার আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হিসাবে তৃনমুল থেকে কেন্দ্রে কাজ করি।আওয়ামীলীগের গণতান্ত্রিক ধারার ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা সদর-১ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করি। তখন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে নেত্রীর নির্দেশে ভোলায় এসে নৌকার পক্ষে কাজ করি।যে কোনো দূর্যোগে বিশেষ করে ভোলা সদরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা কালীন সময়ে ভোলার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে খাবার সহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেছি।এবং অদ্যাবদি তৃনমূলের অবহেলিত নেতা কর্মীদের পাশে আছি এবং মরণ পর্যন্ত থাকবো।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি নৌকার মাঝি হওয়ার জন্য জনগনের মাঝে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে,পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন হেমায়েত উদ্দিন।তিনি বিভিন্ন উনিয়নে আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিত এবং কোরবানী দিতে অক্ষম এমন দুই/তিন হাজার নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করে তাদের প্রত্যেককে আসা-যাওয়া খরচসহ ১-৩ কেজি করে গরুর মাংস বিতরন করেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।এছাড়াও দুস্থ পরিবারের অসুস্থ রুগিদের চিকিৎসা ও ঔষধ ক্রয়ে অর্থ সহায়তা প্রদান সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টানেও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।তার ব্যাপক গনসংযোগে চাঙ্গা হয়ে উঠছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক এই ছাত্র নেতারকর্মকান্ড সারা জাগিয়েছে তৃনমূলে।
ভোলা সদর -১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হেমায়েত উদ্দিন কালবেলা’কে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকার বিজয়ে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।