1. freelencershakil72@gmail.com : Sr Shakil : Sr Shakil
  2. durantotv28@gmail.com : anamul Haque : anamul Haque
  3. loggershell443@gmail.com : yanz@123457 :
নিষেধাজ্ঞা মানছে কেউ পায়রা নদীতে মা-ইলিশ মাছ ধরার হিড়িক। - দুরান্ত টিভি
August 19, 2024, 12:41 pm
শিরোনাম :
রংপুর গংগাচড়ায়  টিম জিয়ন সদস্যদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত সিলেট মেট্রোপলিটন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সাউথ) সোহেলকে নিয়ে চোরাকারবারিদের গুজব। বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদের সহ ১০১জনের নামে হত্যা মামলা বুলেটের গুলির চেয়েও ইন্টারনেটের গুলির শক্তি বেশি ছাত্র-জনতা-ড.মঈন খান রংপুর কারাগারে সংঘর্ষ একজন নিহত তদন্ত কমিটি গঠন সহ ২ কারারক্ষি বরখাস্ত কোটা আন্দোলনে শেরপুরে ২জন শিক্ষার্থী হত্যায় পৃথক পৃথক মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ছাত্রদের আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান। দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান কে জুতাপেটা করলেন ছাত্র জনতা। দুমকিতে ৪আ’লীগকর্মী সমর্থককে কুপিয়ে জখম! নড়াইলে আইন শৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিষেধাজ্ঞা মানছে কেউ পায়রা নদীতে মা-ইলিশ মাছ ধরার হিড়িক।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  • সময়: Friday, October 20, 2023,
  • 38 Time View

রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি-প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ সংরক্ষণে প্রশাসনিক অভিযানের মধ্যেও পটুয়াখালীর দুমকিতে চলছে ইলিশ শিকারের মহোৎসব। জনবল স্বল্পতা আর যানবাহন সংকটে দায়সারা অভিযান এড়িয়ে পায়রা,লেবুখালী পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে দিনে-রাতে সমান তালে চলছে ইলিশ শিকার।উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ,থানা পুলিশ ও স্য়ানীয় জনপ্রতিনিধি সমন্বয়হীনতায় পরিবারের ছোট ছোট শিশু-কিশোর সন্তানদের ব্যবহার করে জেলেরা দেদাছে শিকার করছে মা-ইলিশ।দুর্বল ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রলারে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান ফাঁকি দিয়ে অত্যন্ত দ্রæততার সাথে কৌশলী জেলেরা ইলিশ শিকারের উৎসবে মেতে ওঠেছে।অবরোধের ২/৩দিন পরেই পায়রা,লেবুখালী পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তি জেলেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে অভিযান চললেও তাদের ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন। প্রশাসন অবশ্য অভিযোগটি মানতে নারাজ।তাদের দাবি অভিযান মোটামুটি সফল হয়েছে।মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানে এ পর্যন্ত ৩টি নৌকা ও ১৫হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক হওয়ায় পরিবর্তন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়,উপজেলার পাংগাশিয়া, আঙ্গারিয়া,লেবুখালী ও মুরাদিয়া ইউনিয়ন বেষ্টিত পায়রা, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীর অন্তত: ১১টি পয়েন্টে জেলেরা দিনে রাতে সমান তালে ইলিশ শিকার করছে। কম সময়ে বেশী ইলিশ ধরা পরায় প্রজন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকেই ১২ অক্টোবর-২০২৩ইং নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে নদীতে মা-ইলিশ শিকারে নামছে। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না কেউ।মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের বিশেষ অভিযানের গতিবিধি লক্ষ্য রেখেই ওইসব জেলেরা নৌকা-জাল নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকার করছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জেলেরা তাদের পরিবারের ছোট ছোট শিশু-কিশোর সন্তানদের হাতে নৌকা-জাল তুলে দিয়ে ইলিশ শিকার করছে।সূত্রমতে অবরোধকালে প্রতিটি জেলে পল্লীতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।প্রতিটি জেলে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নৌকা-জাল নিয়ে নদীতে নামে আর নারী,শিশু-যুবা সবাই নির্ঘুম পাহাড়ায় রাত কাটায় নদীর তীরে।দূর-দুরান্তে অভিযানের ট্রলার দেখলেই মোবাইল ফোনে স্ব স্ব জেলেদের সতর্ক সংকেত জানিয়ে দেয় তারা।সংকেত পাওয়া মাত্রই দ্রুত নৌকা-জাল নিয়ে উপজেলার সীমানা ছাড়িয়ে নদীর অপর তীরে বাকেরগঞ্জের দুধলমৌ,পান্ডব নদীর সাদিস, নলুয়া, মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী ও লোহালিয়ার ওপারে বাউফলের বিভিন্ন এলাকার নিরাপদ ঝোপের আড়ালে,পাতাবন ও ছোট ছোট নালা খালে ঢুকে আত্মগোপণে চলে যায়। অভিযানের ট্রলার ফাঁকা নদীতে মহড়া দিয়ে চলে গেলে ফের জাল ফেলে রাতভর ইলিশ শিকারে মেতে ওঠেন তারা।

সূত্রটি আরও জানায়,চলতি মৌসুমে টনকে টন ইলিশ ধরা পরলেও তা বাজারজাত হয়েছে কিনা না।নির্দিষ্ট কয়েকজন পাইকার বিভিন্ন ঘাটে গোপনে মাছগুলো কিনে নিয়ে মওজুদ করে রাখছে।অবরোধের পরে তা বাজারে তোলা হবে।খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উপজেলার হাজিরহাট, লেবুখালী ফেরীঘাট,ভাঙ্গার মাথা,আঙারিয়া বন্দর, পাতাবুনিয়ার হাট,জেলেপাড়া,উত্তর মুরাদিয়া ও জোয়ারগরবদিসহ অন্তত: ১১টি ঘাটে পাইকারদের গোপনীয় আস্তানায় ককশেড ভর্তি করে ইলিশ মাছ মওজুদ রাখা হয়েছে।দিনের বেলায় কোথাও ইলিশের চিহ্নমাত্র দেখা না গেলেও প্রতিদিন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পর পরই নৌকা-জাল গুটিয়ে সারারাতের আহরিত ইলিশ বস্তায় ভর্তি করে জেলেরা যে যার মতো সটকে পড়ছে।একদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান চলছে অন্য দিকে এখানের নদ-নদীতে দেদারছে ইলিশ শিকারও অব্যাহত আছে।

ইলিশ শিকার বন্ধের প্রশ্নে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন,প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না।তিনি আরও বলেন,কিছু জেলেরা নির্দেশ মানলেও মৌসুমি জেলেরা কথা শুনছে না।তার পরেও আমরা প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধে নৌকা জাল আটক রাখলেও তারা(জেলে) বিকল্প নৌকা জাল নিয়ে চুরি করে নদীতে নামছে।উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, নিয়মিত অভিযানে ১২অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৩টি নৌকাসহ ১৫হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: নুরুল ইসলাম জনবল,বাজেট স্বল্পতা ও দ্রতযান সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমরা আমাদের সীমিত শক্তি দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল-ইমরান বলেন, নদীতে অভিযানকালে তেমন একটা নৌকা-জাল পাচ্ছি না। দু’একটা জেলে নৌকা দেখলেও তাদের ধরা খুবই কস্টসাধ্য।এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।স্হানীয় লোকজন সহযোগিতা করলে শতভাগই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খরব
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা,ছবি,অডিও,ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © All rights reserved © 2023
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host
x