রিপোর্টারঃ-সৈয়দ হিটলার আলী,নড়াইল জেলা সিনিয়র প্রতিনিধি-নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর বাজারে গত ৭/৮/২৩ তারিখ রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের কারনে মোঃমোহসিন হোসেনের দোকানে আগুন লেগে মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী দোকান গুলোতে।এসময় তুলারামপুর বাজারে আগুন আতংক ছড়িয়ে পড়ে।আগুনের সুত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীকে ফোন দেওয়া হলে তুলারামপুর বাজারে তাদের পৌছাতে সময় লাগে চল্লিশ মিমিট।উল্লেখ থাকে যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে তুলারামপুর বাজারের দুরত্ব নয় কিঃমিঃ রাস্তা।স্থানীয় জনগণ ও ফায়ারসার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা সময় নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।ততক্ষনে বাজারের চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,মোঃমোহসিন হোসেনের মুদি দোকান,সন্জিত রায়ের ভেটরনারি ঔষধের দোকান,নিতিশ চৌধুরীর চাউলের দোকান ও মোঃ আকতার হোসোনের ধান পাটের গোডাউনের সকল মালামাল সহ ক্যাশের নগদ অর্থ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।বাজার বনিক সমিতির সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন,এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাজারের চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়নি,চারটি পরিবারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়েছে।তিনি আরো বলেন,এ অগ্নিকান্ডে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডে ভুক্তভোগী মোহসীন বলেন,আমার যা কিছু ছিল সব এই দোকানের উপর নির্ভর করে ছিল।আমার অনেক টাকা লোন করা।আমি এখন পথে বসে গেলাম।নতুন করে ঘুরে দাড়াবার মত পরিবেশ আর নেই।আমি এখন কি করবো।এ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষতি হলেও বেচে গেছেন অন্য দোকানিরা।চারটি দোকান পুড়ে ছাই হলে ও বাজারে কিছুটা সস্তি।কারন হতে পারতো আরো বড় কোন দূর্ঘটনা।স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অল্পতেই পুরো বাজার ছাই হওয়া থেকে আল্লাহর রহমতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।