রিপোর্টারঃ মোঃ তাহের আলী–নড়াইলের কুমড়ী গ্রামের বাসিন্দা জালাল মোল্যার পৈত্রিক সম্পত্তির ভূয়া কাগজ তৈরি করে তা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১১৮ নং কুমড়ী মৌজায় বসতবাড়িসহ ধানী জমি বেহাত হওয়ার কারণে অসহায় জালাল মোল্যা ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।পরিবার পরিজনের অন্ন বস্ত্রের একমাত্র উৎস জমি হারিয়ে কৃষক জালাল মোল্যা পাগল প্রায়। জমির মালিকানা ও ভোগ দখল ফিরে পেতে তিনি এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিপক্ষ কালাম শেখের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।অভিযোগে জানা যায়,জালাল মোল্যার দাদা হাজী আব্দুর রশিদ মোল্যা নিলাম খরিদের মাধ্যমে একই গ্রামের মদন গোপালের কাছ থেকে ১৬৬ একর সাড়ে ৯৭শতক জমি ক্রয় করেন।আব্দুর রশিদ মোল্যা মারা যাবার পর তার ৩ ছেলে জহুরুল হক মোল্যা, মোহাম্মদ মোল্যা,দুলাল মোল্যা জমির মালিক হন। পরবর্তীতে মুহাম্মদ মোল্যা তার দুই ভাই জহুরুল হক মোল্যা ও দুলাল মোল্যাকে জমি হস্তান্তর করে দেন।জহুরুল হকের ছেলে জালাল মোল্যাসহ ৮ ছেলে ও চাচাতো ৫ ভাই ওই জমির মালিক হন।সিএস স্বত্ত দখলীয় জমি হিসেবে জালাল মোল্যা পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলেন।ওই গ্রামের কালাম শেখ জমির গাতীর দলিল দেখার নাম করে নিজের কাছে দলিল নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক দলিলটি ফেরত দিচ্ছেন না বলে জালাল মোল্যা অভিযোগে জানিয়েছেন।কালাম শেখের সঙ্গে গ্রামের কতিপয় ভূমি দস্যু ওই সম্পত্তির ভূয়া কাগজ তৈরি করে জোরপূর্বক জমির প্রকৃত মালিক জালাল মোল্যাকে জমি দখলে যেতে বাঁধা প্রদান করছেন বলে তিনি জানান। কালাম শেখের দাদা এয়াকুব শেখসহ ফজর শেখ,আবু সাইদ শেখ ও আব্দুর রৌপ গাজী কবলা মূলে ওই জমির কিছুু অংশের মালিক হলেও পরবর্তীতে মুুহম্মদ মোল্যা ও জহুরুল হক মোল্যার কাছে জমি বিক্রি করেন।