ভোলায় সিদ কেটে বসত ঘর থেকে নগদ অর্থ, জমির দলিল ও ১ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আবু তাহের গংদের বিরুদ্ধে।
১৫ নভেম্বর-২০২২ইং রোজ সোমবার ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল্লাহর বসত ঘরে সিদ কেটে নগদ ২৫ হাজার টাকা,আট আনি স্বর্ণের চেইন,চার আনা স্বর্ণের একটি আংটি,স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, জমির দলিল চুরি করে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে একই ওয়ার্ডের বাসিন্দ আবু তাহের গংদের বিরুদ্ধে।ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আব্দুল্লাহর বসতঘরে সিদ কাটা।স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায় সোমবার গভীর রাতে এই সিদ কাটার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ঘর মালিক আবদুল্লাহ বলেন,সন্ধ্যার পর আমার বউ ঘরের দরজা খোলা রেখে আমার ছেলেকে জারানোর জন্য পাশের বাড়িতে যায়।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবু তাহের এর নাতি মুরাদ সহ আরো কয়েকজন আমার জন্য বেরে রাখা ভাতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে যায়। প্রতিদিনের ন্যায় আজও আমি রাতে কাজ থেকে এসে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।ঘুমের ওষুধের লায়ে আমি রাতে মরার মত ঘুমিয়ে থাকি।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবু তাহের গংরা আমার বসত ঘরে সিদ কেটে চুরি করে পালিয়ে যায়।
গৃহবধু হাসনা বেগম বলেন,প্রতিদিনের ন্যায় আজও আমি আমার স্বামীর জন্য ভাত বেরে রেখে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে পরি।হঠাৎ করে গভীর রাতে দেখি আমার ঘরের ভিতর কারা যেন নড়াচড়া করছে। তাৎক্ষণিক আমি চিৎকার দিয়ে উঠলে ওরা আমার ঘর থেকে পালিয়ে যায়।ওদের পিছন পিছন লাইট নিয়ে আমিও দৌড় দেই,লাইট মেরে দেখি মনিরের ছেলে মুরাদ(২২)কে সে আমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান,আবু তাহের গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।কিছুদিন আগে এই বিরোধের বিষয় ইউনিয়ন পরিষদ একটি সালিশ হয়।সেই সালিশে জমির দলিল দেখাইলে আবু তাহের গংদের দখলকৃত জমি আব্দুল্লাহ দের বলে প্রমাণিত হয়। এর জের ধরে এই চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ের সাথে তারাই জড়িত থাকুক না কেন তা সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন পুলিশ ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু তাহের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।