 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মসজিদের ইমাম ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান হত্যা মামলায় ৩জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ এবং অপর ২জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।এছাড়া এ মামলার অপর ১২জন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
১০ই আগষ্ট-২০২২ইং রোজ বুধবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচার মো: আব্বাস উদ্দীন।
নিহত ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান চাওচাপূ্র্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন,মোঃ হায়দার মোল্যা(৬২)মোঃ ইউনুস মোল্যা (৩৫)মোঃ হিটলার মোল্যা(৩২),বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত দিয়েছেন।
অপর দুই আসামী হলেন,এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আক্তার মোল্যা(২৭) ও ৬মাসের কারাদন্ডপ্রাপ্ত মোঃ সাগর মোল্যা (৩০)কে।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৬সালের ৮ই জুলাই সকালে মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচাপূর্ব পাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান তার বাড়িরপাশের পুকুরে মাছ ধরছিলেন।এসময় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা পুকুরের মালিকানা দাবী করে মাছ শিকারে বাঁধা দিলে বাকবিতন্ডার হয় এবং আসামীরা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।তারপর তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো: আলীম খান বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।দীর্ঘ শুনানীর পর বুধবার দুপুরে ওই মামলার আসামী হায়দার মোল্যা,মোঃ ইউনুস মোল্যা,মোঃ হিটলার মোল্যাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করর জরিমানা করেছেন।
এছাড়া ও মামালার অপর আসামী আক্তার মোল্যাকে ১বছর ও সাগর মোল্যাকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।অপর দিকে এমামলার ১২জন আসামীকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এ্যাডভোকেট মো: শহিদুজ্জামান খান এবং আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান খোকন ও মো: আবু তালেব শেখ।