তাসফিকা আমিন(৬)বয়স যখন ৪বছর তখন খেলাধুলা, হৈহুল্লোড় অন্তঃছিলো না।সারাক্ষণ ঘর-আঙ্গিনা থেকে ছুটেচলা অন্যের বাড়িতেও।যেন আনন্দময় শৈশবে মাতিয়ে দিতো বাবা-মাসহ প্রতিবেশীদের।এরই মধ্যে থমকে গেছে তার দূরন্তপনা।গ্লকোমা ও কর্ণিয়া রোগে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে তাসফিকা এখন গৃহবন্দী।তাকে সুস্থ করতে নিঃস্ব পরিবার। এখন অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে এই শিশুর চিকিৎসা সেবা।
মঙ্গলবার(২৭সেপ্টেম্বর)সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের ছিন্নমুল পরিবারে দুশ্চিন্তায় দেখা যায় শিশুর বাবা-মা’কে।বিষয়টি জানতে চাইলে হাউ-মাউ করে কেঁদে ওঠেন এই দম্পতি।
স্থানীয়রা জানান,ওই গ্রামের বাসিন্দা বনি আমিন।পেশায় একজন দিনমজুর। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনমতো জীবিকা নির্বাহ তার।দাম্পত্য জীবনে একমাত্র কন্যা তাসফিকা আমিন।এই শিশুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বনি আমিনের। শৈশবের আনন্দে বেড়ে ওঠা তাসফিকার বয়স যখন ৪ বছর,তখন হঠাৎ করে গ্লকোমা ও কর্ণিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।এ রোগে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিশক্তি।সন্তানকে সুস্থ করতে বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়।এতে ব্যয় হয়ে লক্ষাধিক টাকা।নিজের গরু-ছাগল বিক্রি করাসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ঋণ নিয়ে চিকিৎসা চালানো হয়।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একদম নিঃশ্ব হয়ে পথে বসেছে বনি আমিন।এদিকে সন্তানের যতই বয়স বাড়ছে ততই অসুস্থতা বেশী দেখা যাচ্ছে।এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বর্তমানে এই শিশুকে সুস্থ করতে আরও প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন।কিন্তু গরীব পরিবারের এতো টাকা যোগাড় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে অসুস্থ শিশুর বাবা বনি আমিন কান্নাজড়িতে কন্ঠে জানান,অভাব-অনটনের সংসার তার। তাদের নুন আনতে পান্তা ফুড়ায়।এ যেন মড়ার ওপর খাড়া ঘা।
তিনি আরও বলেন,আমার একমাত্র অবুঝ মেয়ের দিকে তাকালে চোখের পানি আটকাতে পারি না।এখন টাকার অভাবে সন্তানের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়েছে।সবাই যদি মানবিক সহায়তা করতেন,তাহলে হয়তো সন্তানকে সুস্থতা করা সম্ভব।সহযোগিতায় বিকাশ ও নগদ ০১৭২৮১৯৩৫৪৩,সোনালী ব্যাংক,সাদুল্লাপুর শাখা, গাইবান্ধার সঞ্চয়ী হিসাব-৫১১৪৪০১০৩০৮৯১
ডাচ বাংলা হিসাব-১০৫১০৩০২৪৮৭৭৯
হারুন অর রশিদ রাজু-গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল ০১৭৪০১৫৬২১৩
২৮/০৯/২০২২