রংপুরে গঙ্গাচড়ায় আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর)সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের কিশামত হাবু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এনিয়ে থানায় মামলা হলে পুলিশ শুক্রবার রাতেই হামলাকারী গঙ্গাচড়া উপজেলার জয়রাম ওঝা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রাজু মিয়া(২৯), কিশামত হাবু’র মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪২)ও মঞ্জুমের স্ত্রী আকতারা বেগমকে (৩২) ও শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে একই এলাকার মাজেদ ও স্বপনকে গ্রেফতার করে।শনিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় গঙ্গাচড়া থানার এসআই সুজা মিয়া,মোয়াজ্জেম হোসেন,শাহনেওয়াজ,শামসুজ্জামান ও মাহেদুল ইসলাম কিশামত হাবু এলাকার বাসিন্দা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মাজেদুল ইসলমাকে গ্রেফতারের জন্য তার কীটনাশকের দোকানে যায়। মাজেদুলকে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যরা কিশামত হাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তায় আসলে কিশামত হাবুর সোলেমান আলীর ছেলে মঞ্জুম আলী ওরফে মাথা (৪০),সুলতান মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া (৪০),অহেদুল ইসলামের ছেলে জয় (৩৫),মোজাহার আলীর ছেলে শাজাহান আলীসহ (২৪) অজ্ঞাত আরও ১০থেকে ১২জন বাঁশের লাঠি, লোহার রড, কুড়াল,লোহার শাবলসহ পুলিশের পথরোধ করে।এ সময় আসামী মাজেদুলকে কৌশলে এসআই শাহনেওয়াজ এর মোটরসাইকেলে তুলে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।এতে পথরোধকারীরা এসআই মোয়াজ্জেমকে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে জখম করে এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।এসময় এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে গঙ্গাচড়া থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে এসআই মোয়াজ্জেমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হামলায় ব্যবহৃত লোহার পাইপ,শাবল,বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ সরকারি কর্মচারীকে মারপিটের ঘটনায় এসআই সুজা মিয়া বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় আসামী করা হয় জয়রাম ওঝার ফজলুল হকের ছেলে রাজু মিয়া(২৯),মঞ্জুম আলীর স্ত্রী আকতারা বেগম (৩২),সোলেমান আলীর ছেলে মঞ্জুম আলী ওরফে মাথা(৪০),সুলতান মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া (৪০),অহেদুল ইসলামের ছেলে জয় (৩৫), মোজাহার আলীর ছেলে শাহজাহান আলীসহ(২৪) অজ্ঞাত আরও ১০থেকে ১২জন।
গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন,পুলিশের উপর মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।এ ঘটনায় আমরা ৫জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।