মহাসড়কে সকল প্রকার অবৈধ থ্রি-হুইলার(নছিমন, করিমন, ভটভটি,মাহিন্দ্র,ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল)চলাচল বন্ধের দাবিতে সকাল ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান হাওলাদার। তিনি বলেন, অবৈধভাবে মহাসড়কে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ও ব্যাটরিচালিত যানবাহনের চাপ দিন দিন বাড়তেছে। ফলে মহাসড়কে বেড়ে চলছে দুর্ঘটনা।মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করার জন্য আমরা ফরিদপুর মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাথে একমতাবলম্বী হয়নি। আমরা নিরাপত্তার সাথে ফরিদপুর থেকে মাদারীপুর আর মাদারীপুর বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।
সরেজমিনে মাদারীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা যায়,মাদারীপুর -ফরিদপুর,রাজবাড়ী, মাদারীপুর -কুষ্টিয়াসহ সব অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।বাস টার্মিনালে সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে অনেক শত গাড়ি।অলসতার সাথে দিন পার করছেন চালক ও কর্মচারীরা।গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কারনে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।
আতিউর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন,আমার বাড়ি সদর হসপিটাল প্রায় ২০কিলোমিটার দূরে। ডাক্তার বলছে ফরিদপুর গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। এখন আমি কিভাবে ডাক্তারের কাছে যাব?
আরেক বাস সমিতির নেতা বলেন,এভাবে যদি ধর্মঘট করে গাড়িগড়া বন্ধ করা হয়।তাহলে তো আমাদের শ্রমিকরা না খেয়ে মরে যাবে।বাস চালক হৃদয় মোড়ল বলেন,দুইদিন যাবত যদি বাস না চলে তাহলে আমরা কিভাবে কি করব বুঝতে পারতেছি না,কি খাব আমরা?
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুর রহমান হাওলাদার বলেন,আমরা বিএনপির সমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্য নিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করিনি।মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবীতেই দুইদিন মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরে কোন পরিবহন ছেড়ে যাবে না।