আগামী ৪সেপ্টেম্বর-২০২২ইং উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের কঁচা নদীর উপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার(২৫ আগষ্ট)দুপুরে সেতুটি পরিদর্শন কালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এমপি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এ সময় মন্ত্রী জানান,ওই দিন সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী ঢাকার প্রান্তে বসে সেতুর উদ্বোধন করবেন।সেতু পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেতু নির্মান প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন,পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান,পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ২০অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঁচা নদীর ওপর বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা সড়কের বেকুটিয়া পয়েন্টে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেতুর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়।করোনা মহামারীর মধ্যেও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সেতু নির্মান কাজ শেষে করে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিমিটেড’।সেতুটি নির্মান শেষে গত ০৭আগস্ট ২০২২ তারিখে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে ঢাকাস্থ চীনা দুতাবাসের ইকনোমি মিনিষ্টার বাংলাদেশর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্থান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেন।
প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুটির উভয় প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুটির দৈর্ঘ প্রায় ১৫শ’ মিটার,৯টি স্প্যান ও ৮টি পিলার বিশিষ্ট ১৩.৪০ মিটার প্রস্থ সেতুটির পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে ১হাজার ৪৬৭মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে আরও ২টি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মিত হয়েছে।আর এ সেতু নির্মানে খরচ হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা।এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে।
পিরোজপুর প্রতিনিধি